ফেসবুক মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ম
ফেসবুক মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ম, ফেসবুক মার্কেটিং বাংলা টিউটোরিয়াল

অর্গানিক রিচ বাড়াতে চান ? দারুন কার্যকর হবে এই অপটিমাইজেশন টিপস

ফেসবুকের যারা ব্যবসা শুরু করেছে, বা করবে তাদের জন্য এই পোস্টটি দারুন কাজে লাগবে বলে আশা করি।

১. আপনার NAP মানে ফেসবুক পেজের সঠিক নাম, এড্রেস এবং মোবাইল নাম্বার এড করুন।

N: Name
A: Address
P: Phone Number

২. আপনার ডেসক্রিপশনে লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

মানে হচ্ছে আপনার যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আছে সেই ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অনেকেই দিচ্ছে, এখন সেই সার্ভিস বা প্রোডাক্টের সন্ধানে অনেকেই সার্চ করে ফেসবুক সার্চে। তাই আপনি এমন কিছু কিওয়ার্ড বা শব্দ ব্যবহার করুন যা আপনার প্রোডাক্টের সাথে মানাসই আবার কম্পিটিটর আনুপাতিক ভাবেও কম।
 

যেমনঃ আপনার সার্ভিস হচ্ছে কার সার্ভিসিং,

তবে ডেসক্রিপশনে car servicing ব্যবহার না করে, ব্যবহার করুন car servicing in Dhaka, best car servicing in Banani, Toyota car servicing.

আপনি যদি সানগ্লাস ব্যবহার, ওয়ালেট ব্যবহার করে থাকেন তবে শুধু শুধু sunglass না লিখে যুক্ত করুন premium sun glass in Dhaka, Genuine Wallet Shop ইত্যাদি। যদিও কিওয়ার্ড রিসার্চ জানলে আপনি অনেক ভাল কিছু কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারবেন।

 
যার মাধ্যমে আপনি সার্চে সবার আগে থাকতে পারবেন এবং এমন কিছু কিওয়ার্ডে যেগুলো ফেসবুকে মানুষ সার্চ করে।

৩. সবচেয়ে উপযোগী জায়গায় আপনার ব্যবসার সার্ভিস বা প্রোডাক্টের নাম যুক্ত করুন।

* Page Name
* About Section
* Pin post

৪. আপনার পেজের ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন।

এসইও তে যেভাবে অন্যান্য রিলেটেড ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিতে পারলে রেঙ্ক পাওয়া যায়, তেমনি আপনি যদি একি ধরনের সম্পর্কিত অন্যান্য পেজ, ওয়েবসাইট, মিডিয়া প্লাটফর্ম থেকে আপনার পেজের লিঙ্ক দিয়ে রাখতে পারেন তবে আপনার পেজের অথরিটি বেড়ে যাবে। সাজেস্টেড প্লেসমেন্ট পেয়ে যাবেন সবার আগে।

৫. রিভিউ যুক্ত করার চেষ্টা করুন।

আপনার যে গ্রাহক আপনার প্রতি সন্তুষ্ট তাদের থেকে রিভিউ চাইতে পারেন, এবং রিভিউ নেয়ার পর সেটা আপনার প্রডাক্ট সেলস পোস্টে এড করতে পারেন। তবে তার ছবি যুক্ত করা যাবে কিনা আগে জেনে নিবেন, নাহয় ছবি হাইড করেও প্রোমোট করতে পারেন। এছাড়া রিভিউ দিলে একটা গিফট থাকবে এমন করে বললেও গ্রাহক প্রোডাক্ট কোয়ালিটি তে সন্তুষ্ট থাকলে অবশ্যই রিভিউ দিবে।

৬. কাভার ফটো তে অরিজিনাল প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের ছবি যুক্ত করুন।

আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিজনেস করছেন আপনার ফেসবুক পেজের কাভার ফটো সেই প্রোডাক্টের অরিজিনাল ছবি কি আছে ?
না থাকলে অবশ্যই জুক্ত করতে হবে, এছাড়া আপনার কাভার ফটো টি যেন অবশ্যই মোবাইল রেস্পন্সিভ হয় সেটাও কিন্তু খেয়াল রাখবেন।

৭. প্রতি টি পোস্টেই ছবি যোগ করবেন, এবং ছবির নামের ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।

প্রশ্ন করতে পারেন সবাই এমন বলে, কিন্তু কি ছবি যুক্ত করবো, এত ছবি কই পাব।

তবে আমার উত্তর হচ্ছে, আপনার প্রোডাক্ট যদি হয় ঘড়ির, তবে একেক পোস্টে আলাদা আলাদা ঘড়ির ছবি যোগ করতে পারেন। যদি ওয়ালেট এর হয় তবে একেক বার একেক ওয়ালেটের।
এছাড়া যে ছবিটি আপ করবেন সে ছবিটির নাম যে কোন কিছু না দিয়ে আপনার পেজের নাম, প্রোডাক্টের নাম দিয়ে রিনেম করে আপলোড করুন। যদি বুঝতে পারেন কেন তাহলে তো বুঝেছেন ই, না বুঝলে যেভাবে বলেছি সেভাবেই করবেন।

৮. # ট্যাগ ব্যবহার।

আপনি যে পোস্ট লিখেছেন সেটার মূল বিষয়ের সাথে যে শব্দ সম্পর্কিত সে শব্দের # ট্যাগ ব্যবহার করুন।
যেমন আপনার সেলস পোস্ট টি ঈদের অফার হিসেবে দেয়া হয়েছে। তবে সার্চ করুন ঈদ দিয়ে কোন # ট্যাগ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। এছাড়া # offer # Discount এই ধরনের # ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত।

৯. ভিডিও তৈরি করুন, পাবলিশ করুন।

জি ভাই বলা সহজ করা কঠিন,

ভাই আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে প্রোডাক্টের ভিডিও করা কি খুব কঠিন কাজ ?
কোয়ালিটি প্রথমেই ইউনিলিভার কোম্পানির ভিডিও এডভার্টাইজের কোয়ালিটির সাথে কম্পেয়ার করার কোন দরকার নেই। তবে অবশ্যই ভিডিও করে পাবলিশ করুন, কেউ দেখুক না দেখুক সেটা পরের ব্যাপার।
ভয়েস দিয়ে প্রডাক্টের বিস্তারিত বলুন, বেস হয়ে গেল ভিডিও।
এখানে অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স ব্যবহার করতে হবে বিষয়টা এমন নয়।
লাইভে গিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোমোট ঠিক ভিডিও এর মতই করতে পারেন। ৩ থেকে ৫ মিনিটে আপনি আপনার প্রোডাক্টের ব্যাপারে বলবেন। এর আগে ইন্টারেস্টিং ফেক্ট বা তথ্য শেয়ার করুন। বাকি টা বুঝে নিন।

১০. আপনার পেজের পোস্ট ঠিক টাইমে করুন।

এলোমেলো টাইমে যখন খুশি তখন পোস্ট না করে আপনার ইউজার কখন বেশি থাকে পেজে বা ইন্টারিয়েক্ট করে সেটা ইনসাইট থেকে বের করে দেখে নিন। ঠিক সেই সেই টাইমেই পোস্ট করুন। ভাল রিচ পাবেন। এটা না বের করতে পারলে জানাবেন । 🙂
কিছু তথ্য শেয়ার করি কখন পোস্ট করলে ভাল হবে সেই বিষয়েরঃ
* কোসিডিউলের সার্ভে / রিসার্চ অনুযায়ী ভাল রিচ পাওয়া যাবে স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা থেকে দুপুর ৪ টার মধ্যে পোস্ট করলে।
* মার্কেটার এক্সপার্ট নেইল পেটেল এর রেকোমেন্ড হচ্ছে, দুপুর ৩ টা।
* কিসমেট্রিক্স এর তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭ টার পর পোস্ট করলে ভাল রিচ পাবেন।

আমার রেকোমেন্ডঃ

আপনার পেজের ইন্সাইট অনুযায়ী সবচেয়ে ভাল সময়ে পোস্ট করুন।

১১. আপনার পোস্ট রেশিও ঠিক রাখুন।

এটা আবার কি ভাই, পোস্ট রেশিও আবার কিই ?

পোস্ট রেশিও হল প্রতিদিন যথাক্রমে আপনি কতগুলো পোস্ট করে থাকেন।
আপনি একদিন ৫ টা পোস্ট দিলেন, এক সপ্তাহ সাজেক, রাঙ্গামাটি ঘুরলেন তাহলে কিন্তু কোয়ালিটি রেশিও এনশিউর হল না। একটি করে যদি পোস্ট দেয়ার অ্যাবিলিটি থাকে তবে প্রতিদিন একটি করেই পোস্ট দেন। সপ্তাহে যদি ৩ টি করে দেয়ার অ্যাবিলিটি থাকে তবে সপ্তাহে অবশ্যই ৩ টি পোস্ট করুন।
তবে আমার রেকোমেন্ড হচ্ছে প্রতিদিন অন্তত একটি পোস্ট করুন। তাহলে পোস্ট রেশিও ঠিক থাকবে, ফেসবুক অ্যালগোরিদমের মাথা ঠাণ্ডা থাকবে, রিচ ও বেশি পাবেন।
” কিছু পেইড স্ট্রাটেজি “

১২. এঙ্গেজিং কন্টেন্ট প্রোমোট করুন।

ভাই, এঙ্গেজিং কন্টেন্ট কোনটা, এটা দেখতে কেমন হয়, স্বাদ ই বা কেমন ?

যাহ, এমন প্রশ্ন করলেন যা এই একক পোস্টে বলা সম্ভব নয়, টুকে রাখলাম পরে একদিন বিস্তারিত পোস্ট দিয়ে বলব।

১৩. যারা আপনার ওয়েবসাইটে যাচ্ছে ফেসবুক থেকে তাদের আবার ধরে এনে ( যাবে আর কোথায় ) রিটার্গেট করুন।

নতুন কন্টেন্টে এঙ্গেজ করতে পুশ করুন। সার্ভিস বা প্রোডাক্ট কিনে থাকলে ছেড়ে দেন, অথবা নতুন প্রোডাক্ট আসলে আবার রিটার্গেট করুন। বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত।

১৪. কন্টেস্টের আয়োজন করুন।

সব সময় একি ধরনের অফারে / ডিস্কাউন্টে কাজ হয় না, এক কাজ করেন কন্টেস্ট করুন। যে জিতবে তার জন্য থাকছে ছাড়, আরো উপহার।
প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নয়, কন্টেস্টে জেতার জন্য অনেকে অংশ নিবে, রিচ বেড়ে যাবে বহগুন।

১৫. প্রভাইড ভেল্যু।

জি আপনি যা ই করেন, তখন ই সে এঙ্গেজ হবে যখন তার মন সেটিস্ফাইড হবে আপনার একটিভিটিতে।

এটা কিভাবে ?

আচ্ছা ফেসবুকে কি এমন কিছু হয়, ভিডিও, ছবি, ইমেজ, পোস্ট যা আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন, এবং পড়ার পরে নিজের ইচ্ছায় লাইক কমেন্টস করেন, অথবা শেয়ার করে রেখে দেন ?

তবে সেটাই হচ্ছে ভাল্যু, যার দাম আপনার কাছে আছে বলেই আপনি সেখানে এঙ্গেজড হয়েছে।

১৬. সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন টিপস।

না আর পারছিনা, হাত কিছুটা বেথা করছে। তাই ১৬ নাম্বার টিপস হচ্ছে যতটুকুই করুন, যাই শেয়ার করুন মন দিয়ে, মন উজাড় করে সবচেয়ে ভালটাই করার চেষ্টা করুন। যাতে আপনার অডিয়েন্স ট্রাফিক বুঝতে পারে আপনি ভাল প্রোডাক্ট / সার্ভিস দেয়ার খুব চেষ্টা করছেন।
আজ না হোক, কাল অবশ্যই সে আপনার কাস্টমার হবেই হবে।
সময় দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পরের আবার অন্য কোন বিষয়ে দেখা হবে, কথা হবে আপনার সাথে।
 
সে পর্যন্ত ধন্যবাদ, শুভকামনা আপনার জন্য।

About insider

Check Also

YouTube Shortcuts

ইউটিউব ব্যবহারের দরকারি কিছু শর্টকাট

ভিডিও দেখা ও ভিডিও শেয়ার করার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউব। কম্পিউটারে যেকোনো ব্রাউজিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *