প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এই সময়ে বলা হচ্ছে, আগামীতে আয়ের বড় উৎস এবং কর্মসংস্থানের একটি বৃহৎ সেক্টর হবে ফ্রিল্যান্সিং।
একসময় আমরা কম্পিউটার কী তা জানতাম না, ঠিক ভাবে মাউস ও ধরতে পারতাম না, ইন্টারনেটের প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে জানতাম না । কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আজ সেই আমরাই কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার এর মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছি।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস গুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান পূর্বের চেয়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস “আপওয়ার্ক” সাম্প্রতিক এক জরিপে প্রকাশ করা হয় যে, সাইটটিতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারের হিসাব অনুযায়ী আমরা বিশ্বব্যাপী তৃতীয় অবস্থানে রয়েছি।
কিন্তু ২০০৯ সালেও “আপওয়ার্ক” এর মোট কাজের মাত্র ২ শতাংশ কাজ করতে পেরেছিল বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা। পরবর্তীতে, ২০১২ সালে অর্থাৎ মাত্র তিন বছরেই আপওয়ার্ক বাংলাদেশ শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে, এবং আপওয়ার্ক মোট কাজের ১০ শতাংশ কাজই বাংলাদেশীরা সম্পন্ন করেছিল।
তাছাড়া, ২০১৪-২০১৫ সালে আপওয়ার্ক মোট কাজের ১২-১৫ শতাংশ কাজই বাংলাদেশীরা সম্পন্ন করেছে।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সম্পর্কে আপওয়ার্ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড এন্টারপ্রাইস “ম্যাট কুপার” জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা খুব ভালো কাজ করছেন এবং তাঁদের দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে।
শুধু আপওয়ার্ক ই নয়, জনপ্রিয় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসেই বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা ভালো রেটে কাজ করছে এবং প্রতি মাসেই হাজার হাজার ডলার দেশে আনছে। এছাড়া, আপওয়ার্ক সহ প্রতিটা জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসেই আমাদের অবস্থান তৃতীয় থেকে পঞ্চমের মধ্যে রয়েছে ।
বাংলাদেশের ওভারঅল অবস্থান নিয়ে বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে আমরা সাধারণ ডেটা এন্ট্রির কাজ থেকে শুরু করে উঁচু মানের বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজেও বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছি।
বর্তমানে দেশের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার তরুণ মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে।